নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ এবং অনিয়মের অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হল ইভিএমের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ভোটারের হতাশাজনক উপস্থিতির এই নির্বাচনে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অসংখ্য অভিযোগ আনে বিএনপি, যা অস্বীকার করেছে সরকারী দল ও নির্বাচন কমিশন।
ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রেই বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগের কথা জানান বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল।
বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষ এবং কেন্দ্র দখলের খবরও পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বাড্ডা, বকশি বাজার এলাকায়। সংঘর্ষের জেরে দুটি কেন্দ্রে কিছু সময়ের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। গেন্ডারিয়া এলাকায় সরকারী দল সমর্থকদের দ্বারা ভোটেকেন্দ্র দখলের অভিযোগও পাওয়া গেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে লাঞ্চিত হন এক সাংবাদিক।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার তার ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধীদলের মেয়র প্রার্থীদের এজেন্ট খুঁজে পাননি তিনি।
ধানের শীষের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, বুথে বুথে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি, সেখানে সব দলের এজেন্ট পেয়েছি। এ ধরনের কথাবার্তা অর্থহীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোনো গণ্ডগোলের খবর নেই। এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তারা (বিএনপি) সব সময় করে থাকে। ভোটাররা তাদের কাঙ্খিত প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবেন।
আর নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপিসহ বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেউ বললেই এজেন্ট বেরিয়ে যাবেন কেন?