নিজস্ব প্রতিবেদক: আগস্টে খাদ্য খাতে রেকর্ড ১২.৫৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এই রেকর্ড মূল্যস্ফীতি মুরগি ও ডিমের কারণেই হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এটাকে এড্রেস করার চেষ্টা করবো, দ্রুতোই এটা কমানোর চেষ্টা করবো।
গত মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে মোট ১২.৫৪%। যা বিগত বছরে কখনও হয়নি। আগের মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭৬%। আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
গত ১১ বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০.২% মূল্যস্ফীতি। ২০২০-২১ অর্থবছরেও খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫.৫৬%। অর্থাৎ মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে এই খাতে বৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণের বেশি।
গত রোববার বিবিএসের হালনাগাদে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, আগস্ট মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
এছাড়াও ২০২০ সালে খাদ্যখাতে ১০০ টাকার পণ্যে ৫ টাকা ৫৬ পয়সা বৃদ্ধি হয়েছিল, একই পণ্যে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বেড়েছে ১২ টাকা ৫৪ পয়সা। তবে বিবিএস দাবি করেছে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে।
আরও পড়ুন: পানির অপচয় বন্ধ করতে হবে
গত আগস্টে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে এ হার ছিল ৯.৭৬%। গ্রাম এলাকায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৭১%। আর শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২.১১%। উভয় ক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ১০% এর নিচে ছিল।
অন্যদিকে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ের ৯.৪৭% থেকে কমে আগস্টে ৭.৯৫% বেড়েছে। এরই মধ্যে আগস্টে গ্রাম এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭.৩৮% ও শহর এলাকায় তা ৮.৪৮%।
সান নিউজ/এএ