করোনা ভাইরাস আতঙ্কে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ৩৬১ জন বাংলাদেশী দেশে ফেরার আবেদন জানালেও তাদের সবাইকে আনা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চীন থেকে রওনা দেয় বিশেষ বিমানটি। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেঁছানোর কথা রয়েছে । যাত্রীদের সাথে বিমানে আছেন চারজন চিকিৎসক।
বিমানবন্দর থেকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে আশকোনা হজ ক্যাম্পে। সেখানে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় তাদের রাখা হবে। তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাদের কারো মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য ১৪ দিন হজ ক্যাম্পে রেখে তাদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
গতকাল এই বিমানটি যাত্রা শুরুর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন যে মোট ৩৬১ জনকে উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, উহান প্রদেশ থেকে ১৯টি পরিবারের ২০ শিশুসহ ৩৬১ জন দেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন। তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষক।
পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করছে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন চলাকালে এই বাংলাদেশিদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে সেনাবাহিনী থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সেনাবাহিনী মূলত উহান থেকে ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যের দিকটি দেখবে।
সেনাবাহিনীর চিকিৎসকেরা নিয়মিত এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং কোয়ারেন্টাইন কর্মসূচী দেখভাল করবেন।
এখানে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে সমন্বিত সামরিক হাসপাতাল বা সিএমএইচ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি গতকালই উহানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং রাতে সেখান থেকে বাংলাদেশীদের নিয়ে ফিরতি পথ ধরে।
হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন চলাকালে উহান থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে কাউকে আসতে দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।