বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) রিজিয়ন কমান্ডার ও ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বিএসএফের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন : আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিএসএফের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট হয়ে বেনাপোল সীমান্তে পৌঁছায়।
এর আগে প্রতিনিধিদলটি সীমান্তের শূন্যরেখায় পৌঁছালে বিজিবি কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে চেকপোস্টে আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পে বিএসএফ প্রতিনিধিদলের প্রধানকে গার্ড অব অর্নার দেয়া হয়।
সাত সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী আয়্যুষ মানি তিওয়ারি। এসময় বিএসএফ ও বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের কার্যাদি সম্পন্ন করে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিএসএফের প্রতিনিধি দলটি।
আরও পড়ুন : ঢাকার যেসব রাস্তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
যশোর বিজিবির দক্ষিণ পশ্চিম রিজিয়নের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ারুল মাযহার জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর যশোর ও রংপুর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ে চার দিনব্যাপী (২-৫ সেপ্টেম্বর) সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন শনিবার দুপুরে যশোরের একটি হোটেলে শুরু হচ্ছে।
বিজিবি-৩৯ এর রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রতিনিধিদলে বিজিবি‘র যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদসহ উভয় রিজিয়নের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট সেক্টর কমান্ডারগণ, বিজিবি‘র স্টাফ অফিসারবৃন্দ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী আয়্যুষ মানি তিওয়ারি এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজিগণ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ডিআইজিগণ, বিএসএফের স্টাফ অফিসারবৃন্দ, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আরও পড়ুন : জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন
সম্মেলনে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে চারদিনের সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্তি ঘোষনা করা হবে বলে জানান পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ারুল মাযহার।
সান নিউজ/জেএইচ