নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি ৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের প্রবেশ মুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস ইস্যুতে সরকার বিচলিত নয়
বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে আপিল বিভাগের ২ বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ৭ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: এমপি আব্দুল কুদ্দুস আর নেই
আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা ঐ ৭ আইনজীবী নেতা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে এ আবেদন দায়ের করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
আরও পড়ুন: দেশের বিচার ব্যবস্থায় সুবাতাস বইছে
গত ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বলে উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের ২ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
এছাড়া ঐ ২ জন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণাসহ মিছিল সমাবেশ করে আসছে তারা।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র করছে, সতর্ক থাকা উচিত
আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্রদর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন- সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এ সংবিধানে।
তিনি বলেন, ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্র চাই। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্র কী? শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উৎপাদন বন্ধ
ভোট দিয়ে রাজা ও মন্ত্রীর পরিবর্তনই গণতন্ত্র নয়। যে গণতন্ত্র মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা, বেকারের চাকরির সংস্থান ও দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি ঘটাতে পারে না- বঙ্গবন্ধু সে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত হবে না, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির উন্মেষ ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হবে না, শুধু ভোট দিয়েই এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকাসহ দেশজুড়ে বিএনপির মিছিল
সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছি, সে অবস্থায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আবহ ও প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সবকিছু মাথায় নিয়ে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, সারা বিশ্বে নির্বাচন হয়, কেউ তাকিয়েও দেখে না। নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?
সান নিউজ/এনজে