পদ্মা সেতু চালু হলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চিত্র। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে দুই ২ শতাংশের বেশি। দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে দূরত্ব কমে আসবে গড়ে একশ কিলোমিটার। আরও গতিশীল হয়ে উঠবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর।
মুন্সীগঞ্জের হরেগঙ্গা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার সাদেকুর রহমান সান নিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরের দূরত্ব কম হওয়ায় অর্থনীতির নতুন গতিপথ হয়ে উঠবে পদ্মাসেতু। ওই রুটে বাড়বে যান চলাচল। তাই সেতুর দুইপাড়ের সড়ক করা হচ্ছে আরও প্র্রশস্ত।
খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, দেশের বৃহত্তম পদ্মা সেতু চালু হলে পাল্টে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের ভবিষ্যত। কমবে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের সময় ও অর্থ। গতি আসবে অর্থনীতিতে। বিশ্বব্যাংকের এ-বিষয়ক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কমপক্ষে তিন কোটি মানুষ সরাসরি এ সেতুর মাধ্যমে উপকৃত হবে। শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, স্বপ্নের পদ্মা সেতু বদলে দেবে পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র। সেতু চালু হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে দুই শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে ধুনিকায়ন করা হচ্ছে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে। পদ্মা সেতুর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। খুব সহযেই এই রুট পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানী এবং সমুদ্র বন্দরের সাথে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে ওঠবে নতুন নতুন শিল্পাঞ্চল। কর্মসংস্থান অসংখ্য মানুষের।
মুন্সীগঞ্জের হরেগঙ্গা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার সাদেকুর রহমান সান নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চল হবে আরও একটি শিল্প এলাকা। গতি আসবে দেশের অর্থনীতিতে। পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতির চিত্র।
সমুদ্র বন্দরের আধুনিকায়ন, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতিকরণ, এর সব কিছুই ঘটছে পদ্মা সেতুকে ঘিরে।
শুধু নিজেদের পণ্য পরিবহন নয়, পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি সহজতর হয়ে উঠায় ভারতের উত্তরা-পূর্বাঞ্চল, ভুটান ও নেপালও ব্যবহার করবে মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর। এর ফলে মোটা অংকের রাজস্ব আদায় বাংলাদেশের।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে এ সেতু হয়ে উঠবে দেশের মানুষের স্বপ্নের সেতু।
মাওয়া-জাজিরায় ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে গৌরবের পদ্মা সেতু। জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের স্বকীয়তা, তুলে ধরছে স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন অবকাঠামোয় বাংলাদেশের সক্ষমতা। এরই মধ্যে দৃশ্য মান হয়েছে সেতুর তিন কিলোমিটার।