মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
ছবি : সংগৃহিত
জাতীয় প্রকাশিত ২১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৩
সর্বশেষ আপডেট ২১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪১

এই দেশে আর খুনের রাজত্ব চলবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া পরিবার মানে খুনি পরিবার। এই দেশে আর খুনের রাজত্ব চলবে না। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বাংলাদেশের মানুষ ছাড়বে না বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

২১ আগস্টের কিছু আছে কারাগারে। কিন্তু এর মূল হোত তো বাইরে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি সেই সুবিধা নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কতো হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে চলে গেছে। সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক। বাংলাদেশের মানুষ এই খুনিদের ছাড়বে না। বাংলাদেশের মানুষ ওদেরকে ছাড়বে না।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

কিছু লোক হয় তাই নিয়ে ওদের লম্ফ জম্ফ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চেনে নাই। মানুষের কাছ থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলতে চেয়ছিলো, জয় বাংলা মুছে ফেলেছিলো, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলো; কিন্তু পারেনি।

আবার ফিরে এসেছে। কাজেই এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না। জিয়া পরিবার মানে খুনি পরিবার বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা এ সময় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের মানুষের কাছে গিয়ে বিএনপির খুনের আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং লুটপাটের বিষয়ে বলতে আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর ওতপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেটা খুনি রশিদ-ফারুকের বিবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব বেরিয়ে এসেছে।

জিয়াউর রহমান সবাইকে শেষ করতে চেয়েছিলো তারও তো দায়িত্ব ছিলো, সে তো উপ-সেনাপ্রধান ছিলো। সে তো তার ভূমিকা রাখেনি।

বরং খন্দকার মোশতাক বাংলার আরেক মীর জাফর ক্ষমতায় নিয়ে জিয়াকে সেনাপ্রধান করে। কী সখ্যতা ছিলো, যেহেতু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত ছিলো এজন্য তাকে পুরস্কৃত করা হয়।

আরও পড়ুন: ১ ঘণ্টার বন্ধ থেকে চলাচল স্বাভাবিক

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বক্তব্য দিলো, প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা বিরোধী দলীয় নেত্রীও কখনো হতে পারবে না। এ কথা কীভাবে বলেছিলো? এই হত্যা ষড়যন্ত্র করেছিলো ধারণা ছিলো নিশ্চয় আমি মরে যাবো।

এইভাবে তারা হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, চক্রান্ত করেছে। যে দলের উত্থানই হয়েছে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাদের মিথ্য্যাচার মানুষকে বিভ্রান্তি করার জন্য।

আজকে তারা ভোটের অধিকার কথা বলে। আর কিছু আছে তাদের ভাড়া করা তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, ৩ নভেম্বর আপনজন হারিয়েছি, আওয়ামী লীগের হাজার নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে বিএনপি-জামায়াতের হাতে, তাদের মানবতা কোথায়?

আরও পড়ুন: স্বর্ণসহ বিমানের মেকানিক আটক

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা মাঝে মাঝে মানবাধিকারের কথা বলে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কাদের শেখানো বুলি তারা বলে। এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বারবার হয়েছে যার মূল হোতাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান।

২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় নিজে বেঁচে যাওয়াটাকে অবাক বিস্ময় বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধান বলেন, এমন একটা পরিবেশ সেখানে কেউ উদ্ধার করতে পারেনি। যারা উদ্ধার করতে এসেছিলো তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ করা হয়। এখানেই প্রশ্ন এগুলো কেন করলো। আলমত মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। চিকিৎসার সরঞ্জামগুলো তালা দিয়ে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা চলে গেছে।

আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন

তখন তো খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। কী ভূমিকা পালন করেছিলো সেটাই প্রশ্ন। সেখানেও বাধা দিলো পুলিশকে। আলমত রক্ষা করতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিলো না।

এতে কী প্রমাণ হয়। গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা-তারেক গ্যাংরা যে জড়িত, এতে কোনো সন্দেহ নেই এবং তদন্তে তা বেরিয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানালো মুক্তিজোট

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জ...

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল অবরোধ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ...

নীলফামারীতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস অনুষ্ঠিত

‘সাহসী ও দায়িত্বশীল আগামীর প্রজন্ম’ প্...

বগুড়ায় খুন করে হাসপাতালে রেখে গেল লাশ

বগুড়ার শেরপুরে পরকীয়ার জেরে কাবিল হোসেন (৪০) নামের...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা