নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি ঢাকা সফর করা সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি করে বলেছেন, তারা ‘নিরপেক্ষ নন’।
আরও পড়ুন: বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দুই কংগ্রেসম্যান
শনিবার (১২ আগস্ট) ভিডিওসহ একটি টুইটে শাহরিয়ার আলম লিখেন, সবার অবশ্যই জানা উচিত যে, এই সাবেক কূটনীতিকরা নিরপেক্ষ নন। তারা কখনই নিরপেক্ষ ছিলেন না, এমনকি যখন তারা ঢাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
প্রশ্ন হলো, তারা কি বিনা পয়সায় এটা করছেন? যদি না হয়, তাহলে কারা তাদের বেতন দিচ্ছেন? আমরা এই ‘‘কেন’’র উত্তর জানি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর টুইটটি রিটুইট করে একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক লিখেছেন, পশ্চিমা সমাজে কোনোকিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না! মজুরি ঘণ্টাভিত্তিক পরিষেবার ভিত্তিতে!
আরও পড়ুন: দেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই টুইটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জন ড্যানিলোভিজ ফিরতি টুইটে বলেছেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জানেন যে, এটি মিথ্যা এবং এটি দুঃখজনক যে, তিনি চরিত্রহননের সঙ্গে জড়িত।
আমি বুঝতে পারি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি যে, তিনি এই ধরনের একটি মৌলিক বিষয় বেছে নিয়েছেন, যার জন্য তাকে কতটা চাপের মধ্যে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ এবং এর নাগরিকদের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা আছে। আমি সেখানে এবং সর্বত্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নয়নে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর টুইট করা ভিডিও স্টোরিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারির সঙ্গে সাবেক কূটনীতিকদের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত উইলিয়াম মিলাম ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং ‘দক্ষিণ এশিয়া প্রেক্ষিত’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৭ সাল এবং ২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে দুইবার ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও ম্যাগাজিনটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জন ড্যানিলোভিজ। ‘বিএনপির অর্থায়নে’ নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে পত্রিকাটি পরিচালনা করেন মুশফিকুল ফজল আনসারি।
আরও পড়ুন: অন্ধকার যুগ ফেরাতে চায় বিএনপি
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ভিডিও স্টোরিতে প্রশ্ন করা হয়, কিভাবে মার্কিন কূটনীতিকরা এমন একটি দলের পক্ষে ওকালতি করতে পারেন, যেটি এখন পলাতক ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ‘হিংসাত্মক রাজনীতির প্রতীক’ হিসেবে চিহ্নিত এবং মার্কিন স্বার্থের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে? জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশ এবং ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত।
সান নিউজ/এইচএন