নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং সমমনা দল নিয়ে আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন করেছি।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন ৭ অক্টোবর
তিনি বলেন, মানুষ আজ ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ১২ জেলা গৃহহীন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন না। তারপরও জন্মদিন হিসাবে কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করতো। যেদিন আমাদের চোখের পানি পড়ে, মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে সেদিন সে উৎসব করতো। শুধুমাত্র আমাদেরকে আঘাত দেওয়ার জন্য এটা করতো।
১৫ আগস্ট আমি এবং আমার ছোট বোন রেহানা বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর দেশে আসতে পারিনি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের আরেক মীরজাফর খুনি মোস্তাককে দিয়েই জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।
খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি এরশাদও জিয়ার পথ ধরে ক্ষমতা দখল করেছিল।
আরও পড়ুন: রডের বাজার ঊর্ধ্বমুখী
শেখ হাসিনা বলেন, যারা ঘর পেয়েছেন, তারা ঘরের আশেপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। ঘরগুলোকে যত্ন করতে হবে। এখন ডেঙ্গু দেখা গেছে। কোথাও যেন পানি জমে না থাকে।
সরকারপ্রধান বলেন, মশার প্রজনন কেন্দ্র যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে আপনারা সাশ্রয়ী হবেন। জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। দেশের একটি মানুষও অবহেলিত থাকবে না। সেটাই তার আকাঙ্ক্ষা ছিল। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষাই পূরণ করছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতা পদক পেলেন ৪ নারী
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কাজ করে জানিয়ে তিনি আমাদের একটা বিরোধীদল আছে, মানুষ খুন করা, অগ্নিসন্ত্রাস করা, বাসে আগুন দেওয়া, রেলে আগুন দেওয়া, পুলিশকে মারা, মানুষকে হত্যা করা, এ ধরনের কাজই তারা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, '৭৫ এ জাতির পিতা হত্যা করার পর বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রতি রাতে কারফিউ থাকতো। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। কোনো কিছু বললেই ধরে নিয়ে গুম করা হতো। লাশও গুম করতো।
আরও পড়ুন: বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনাবাহিনী
সেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং সমমনা দল নিয়ে আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন করেছি।
তিনি বলেন, মানুষ আজ ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে।আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক অধিকারকে বিশ্বাস করে। মানুষের ভোটের অধিকার মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০০৯-২০২৩ পর্যন্ত দেশে একটা স্থিতিশীল অবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশ পুনর্গঠনে ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গমাতা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত বাধা অতিক্রম করে একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ, সবগুলো মোকাবিলা করে জনগণের আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দারিদ্র্যের হার অর্ধেকের বেশি নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ এ দেশে আর হতদরিদ্র থাকবে না।
আরও পড়ুন: দেশের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা
সরকারপ্রধান বলেন, আমি শুধু এইটুকু বলবো, একটানা সরকারে আছি বলেই আজকে ভূমিহীন মানুষের ঘর করে দেওয়া থেকে শুরু করে, শিক্ষার দীক্ষা, শতভাগ বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন করে দিচ্ছি।
নৌকায় ভোট দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে উল্লেখ করে আরও শেখ হাসিনা বলেন, নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলে আজকে ভূমিহীন মানুষেরা ঘর পেলেন, জমি পেলেন। শিল্প-কলকারখানা করার জন্য আমরা ১০০ টি অঞ্চল করে দিয়েছি। সেখানে মানুষ বিনিয়োগ করবে, অনেক মানুষের চাকরির ব্যবস্থা হবে।
এ দিন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন আরও ২২ হাজার ১০১ টি পরিবারের মধ্যে ভূমিসহ সেমিপাকা ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হলাে আরও ১২ টি জেলা।
সান নিউজ/এনজে