এম.এ আজিজ রাসেল: কক্সবাজার জেলায় চতুর্থ পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ৭২৫ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার। আগামী ৯ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের ঘরের চাবি ও জমির দলিল বুঝিয়ে দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনের তাগিদে সংশোধন করেছি
উদ্বোধনের পর পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলাকে ভূমি এবং গৃহহীন মুক্ত করা হবে। কক্সবাজারে আর সর্বমোট ৩৮৪টি পরিবার অবশিষ্ট গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে শহিদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
তিনি বলেন, " জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল বাঙ্গালী জাতি একটি উন্নত জীবন পাবে। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাইসাইকেলে বিশ্ব প্রচারনায় সাতক্ষীরার ৪ যুবক!
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এত বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রমাণ রেখেছেন।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরূপ জমিসহ গৃহ প্রদান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও অনন্য উদ্যোগ। এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।"
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল বলেন, "এবার ৯ আগস্ট কক্সবাজার সদরে ১৫৫, রামু উপজেলায় ১৯০, উখিয়া উপজেলায় ১৫৫, টেকনাফ উপজেলায় ৬৪, পেকুয়া উপজেলায় ৩০, মহেশখালী উপজেলায় ৯০ ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪১টি পরিবারের মাঝে গৃহ ও জমি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার
নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন। এতে করে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানবসম্পদ ও পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন- মানোন্নয়নে কাজ করছেন।
প্রথম পর্যায় থেকে চতুর্থ পর্যায় পর্যন্ত নির্মিত এসব গৃহের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন গুণগত মান বজায় রেখে মুজিববর্ষের গৃহসমূহ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।"
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এইচএন