নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অবরুদ্ধ চীনের নগরী উহান শহরে আটকে পড়া তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট তাদের আনতে চীনের উদ্দেশে রওনা হবে। মধ্যরাতে বিমানটি তাদের নিয়ে ঢাকায় ফিরবে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
এদিকে, করোনভাইরাসের কারণে চীন থেকে ফিরতে আগ্রহী ৩৭০ বাংলাদেশি নাগরিক নিবন্ধিত হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, চীনের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের শনিবার দেশে ফিরিয়ে আ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানিয়েছেন, তাদের আনা হলে ঢাকায় হজ ক্যাম্প ও উত্তরার একটি হাসপাতালে আলাদা করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে।
জানা গেছে, চীনে বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে উহানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ। প্রত্যেকের নাম ও টেলিফোন নম্বর এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস দূতাবাসের সংগ্রহে রয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন দূতাবাস কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে দূতাবাসের সঙ্গে এবং করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতির হালনাগাদ অবস্থা জানা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। তিনি বলেন, ভাইরাসটি যেন দেশে না আসে তা নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। যদি কোনো কারণে চলে আসে, তাহলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশের জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে আলাদা ওয়ার্ড খেলা হয়েছে। ঢাকাসহ সব জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ মুহূর্তে স্ক্রিনিং ছাড়া কাউকেই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি স্ক্যানিং মেশিন রাখা আছে। এর একটি ভিআইপি প্রবেশদ্বারে, একটি সাধারণ প্রবেশদ্বারে এবং অন্যটি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্থল ও নৌবন্দরেও স্ক্রিনিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরসংলগ্ন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একটি আলাদা আইসোলেটেড কেবিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রতিটি যাত্রীর জন্য একটি করে করোনাভাইরাস নির্দেশিকা গাইড রাখা হয়েছে।