জেলা প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসি ক্ষমতাসীন দলকে ভয় পায় না
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
নেত্রকোনা জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, এ আসনে উপনির্বাচনে সাজ্জাদুল হাসান ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৪ জুলাই সাজ্জাদুল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দেন। ২৫ জুলাই যাচাই-বাছাই ও আজ ৩১ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চান
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের পর কোনো পদে একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়। ফলে সংসদ সদস্য হিসেবে সাজ্জাদুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুলাই নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য আসনটিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করে ১৬ জুলাই তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উপনির্বাচনে সাজ্জাদুল হাসানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু সাজ্জাদুল হাসান ছাড়াও নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহম্মেদসহ আটজন দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছিলেন।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই
সাজ্জাদুল হাসানকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন এমন ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিবের (পিএস-১) দায়িত্ব গ্রহণের পরই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোনায় আলোচনায় আসেন।
এছাড়া সাজ্জাদুল হাসানের বাবা প্রয়াত চিকিৎসক আখলাকুল হোসাইন গণপরিষদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
সান নিউজ/এইচএন