নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশে পানিতে ডুবে শুধু চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত সাড়ে ৩ বছরে মোট তিন হাজার ৮০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৪ হাজার ২৫৩ হাজি দেশে ফিরেছেন
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) আন্তর্জাতিকভাবে ৩য় বারের মতো পালিত হচ্ছে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’।
এছাড়াও গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’ দিবসটি ঘিরে পানিতে ডুবে মৃত্যুর প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত) সাড়ে ছয় মাসে সারা দেশে পানিতে ডুবে মারা গেছে ৫১৬ জন। এদের মধ্যে ৫০৩ জনই শিশু, অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নয়
প্রতিবেদনের হিসেব অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত গত সাড়ে ৩ বছরে পানিতে ডুবে মোট মারা গেছে তিন হাজার ৮০১ জন।
এদের মধ্যে তিন হাজার ৩৬৩ জন শিশু (৮৮ শতাংশ), অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। সবচেয়ে বেশি মারা যায় ২০২১ সালের আগস্টে মোট ২১২ জন ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের সাড়ে ৬ মাসে পাঁচ বছরের কম বয়সী মোট ২৭৩ জন শিশু মারা গেছে। ৫-৯ বছরের শিশুরা রয়েছে ১৭৫ জন। মারা যাওয়া শিশুদের ভেতর ১০-১৪ বছর বয়সী ৪২ জন, ১৫-১৮ বয়সী ৮ জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সম্মেলনে পাঁচ প্রস্তাব
গত সাড়ে ছয় মাসে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মোট ১৩ জন মারা গেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পানিতে ডুবে ১৬, ফেব্রুয়ারিতে ৪০, মার্চে ৬১, এপ্রিলে ১০৭, মে-তে ৮৮, জুনে ৯৮ এবং জুলাই মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত মোট ৯৬ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের এপ্রিলে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে ‘নীরব মহামারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে, প্রতিবছর ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।
পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকানোর উদ্দেশ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।
সান নিউজ/এএ/এইচএন