নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। আমাদের চালের অভাব নেই। আমাদের চাল এবং অন্যান্য ফসল প্রচুর পরিমাণে আছে।
আরও পড়ুন : ভোটের আগে জাতীয়করণ নয়
বুধবার (১৯ জুলাই) গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমাকে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের তো চাল রাখার জায়গা নেই। এখন জায়গা খালি করি কীভাবে?
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে দেয়াল ধসে নিহত ১১
নতুন করে মজুত করতে জায়গা খালি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যাদেরকে আমরা রেশন দেই, যেমন- আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আছে, পুলিশ বাহিনী আছে, তাদের যাদের যাদের রাখার ব্যবস্থা আছে, তাদের আমরা একবারে ৩ মাসেরটা দিয়ে দেবো।
শেখ হাসিনা বলেন, ভিজিডি, ভিজিএফ মাসে মাসে দেই। সেটাও দরকার হয় ৩ মাসের দিবো, সেখানে আমরা জায়গা করবো। সেখানে নতুন করে আবার খাদ্য মজুত করবো। যাতে ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগে সমস্যা না হয়।
আরও পড়ুন : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল
তিনি বলেন, গ্রামে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে। হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে যাননি। গ্রামের মানুষ, গ্রামে কিন্তু কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নেই। আজকেও আমি খবর নিলাম, বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন, জিজ্ঞেস করলাম কী অবস্থা। তারা বলেন এখানে দাম বেশি, আমাদের ওখানে সব ঠিক আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, সেটাও কার্যকর করতে হবে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের আসবে। আমরা সে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আরও পড়ুন : উসকানিতে পা দেবেন না
তিনি বলেন, আজকে মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালো আছে। এখন বর্ষাকালেও শীতকালের সবজি দেখেন। সবই পাওয়া যায়। আবার সেটা দাম বেশি হলে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচিও করে। কিন্তু আগে তো এগুলো পাওয়াই যেত না। এখন সবই পাওয়া যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমাজের সবদিকে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা এখন মোটামুটিভাবে এমন জায়গায় আছি, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে অর্থনৈতিক চাপ আছে, ডলারের ক্রাইসিস এটাতো সারা বিশ্বব্যাপী, আমাদের ওপরও আছে।
আরও পড়ুন : পাওনা টাকার জন্য সজিবকে হত্যা করা হয়েছে
তারপরও আমি বলবো আমাদের অর্থনীতি গতিশীল । এবারও আমরা ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন আমরা ঘোষণা দিয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশ করবো।
আরও পড়ুন : দাবি আদায় না হলে ঢাকায় মহাসমাবেশ
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু, এই একটা সিদ্ধান্ত, এখন সবাই বাংলাদেশকে সমীহ করে। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেছে।
জোট ১৪ দলের সভায় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।
আরও পড়ুন : ভারতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১৫
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি- জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি প্রমুখ।
সান নিউজ/এনজে