নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ইসি ভোট শেষে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কিছু কেন্দ্রে ভোট বাতিল ও গেজেট প্রকাশ আটকে দেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরও বেড়েছে ও সুসংহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : চাল-আমদানি-করতে-হবে-না
সোমবার (১০ জুলাই) আরপিও সংশোধন গেজেট আকারে প্রকাশের পর সার্বিক বিষয় নিয়ে নির্বাচন ভবনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা রহিত হয়নি। একটি বিধান সংশোধন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, ইসিকে হেয় করা হচ্ছে। দীর্ঘ ক’মাসে আইনটি নিয়ে নানা বক্তব্য এসেছে। তাতে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে। এজন্য যেসব ব্যাখ্যা, মন্তব্য এসেছে তার সবগুলো সঠিক নয়। এজন্য ইসির পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টীকরণ করতে চাই।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কমিশন বুঝে না বুঝে নিজের পায়ে নিজে কুঠার মেরেছে- এমন মন্তব্য এসেছে। গেজেট প্রকাশের পর নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল, ৯১ এ দফায় সংশোধন হয়েছে বলে কথা এসেছে। সরকার নিজের সুবিধার জন্য আইন সংশোধন করেছে। এগুলো নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন।
সিইসি বলেন, সরকার আমাদের প্রস্তাবমতো আরপিও সংশোধন করেছে। ইসি তার অবস্থান আরও সংহত, শক্তিশালী করার জন্য সংশোধনগুলো চেয়েছিল, সরকার সম্মত হয়েছে। সংসদ সম্মত হয়েছে। এতে করে আমাদের ক্ষমতা বর্ধিত হয়েছে। কমিশন থেকে ইসির ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে- এটাও অবান্তর কথা। ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব পাঠাতে পারে না ইসি।
আরও পড়ুন : জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার দাবি
সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটাকে নিয়ে অপব্যাখ্যা করাটা দুঃখজনক। আমরা পুরো জাতি একটা সুন্দর নির্বাচন চাই। নির্বাচন নিয়ে অহেতুক, বিভ্রান্তকর মন্তব্য করে ইসিকে হেয় করা বাঞ্ছনীয় নয়। কমিশনকে গঠনমূলক সাজেশন দিয়ে সহায়তা করলে আমরা উপকৃত হবো।’
ভোটে বন্ধে ইসির ক্ষমতা রহিত করা হয়নি দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, আইনের বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে। এখান ইনহেরেন্ট পাওয়ার।
‘সেই পরিস্থিতিতে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে আইনকানুন, রুলিং অনুযায়ী। ইলেকশনের পরিবর্তে যেহেতু পোলিং এসেছে, এটা আপনাদের মতো আপনার বোঝেন, আমরা আমাদের মতো বুঝেছি। আপনারা যেভাবে বুঝেছেন, বুঝতে থাকেন। আমরা কী করতে পারবো আমরা জানি। আপনারা চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন।’
আরও পড়ুন : ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ নম্বরে এসএসসি
সিইসি আরো বলেন, আমরা তিনটি জায়গায় ‘ইলেকশন’ শব্দটাকে ‘পোলিং’ শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছি। এটা হচ্ছে ক্লারিক্যাল কারেকশন। কারেকশন আর এমন্ডমেন্ডে এর মধ্যে ফারাক রয়েছে। এমেন্ডমেন্ডের মধ্যে নীতিগত এলিমেন্ট থাকে, কারেকশন টা হচ্ছে জাস্ট সংশোধন। এটাকে নিয়ে অপব্যাখ্যা করাটা দুঃখজনক মনে করি।
তিনি বলেন, আমরা পুরো জাতি একটা সুন্দর নির্বাচন চাই। নির্বাচন নিয়ে অহেতুক, বিভ্রান্তকর মন্তব্য করে ইসিকে হেয় করা বাঞ্চনীয় নয়। কমিশনকে গঠনমুলক সাজেশন্স দিয়ে সহায়তা করলে আমরা উপকৃত হবো। আমরা সবার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি, সুন্দর নির্বাচনের জন্য ভালো সংশোধনের দরকার হলে আমরা করবো।
সান নিউজ/জেএইচ