নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া আর অন্য কোনো ব্যাগ সাথে নিয়ে না আসার অনুরোধ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন : কোরবানি সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়
বুধবার (২৮ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঢাকায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার লোক নামাজ পড়বেন।
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা
তিনি বলেন, যারা ঈদগাহ আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা সাথে করে নিয়ে আসতে পারেন। অন্য কোনো লাগেজ বা ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রত্যেককে চেকপোস্টে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এছাড়া গাড়ি কোথায় থামবে, সে বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে অনেকদূর হেঁটে আসতে হবে। তাই বৃষ্টির দিনে সবার সাথে ছাতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আবহাওয়ায় যদি আরও বড় দুর্যোগ না হয়, তাহলে মুসল্লিরা এ অবস্থায় নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি
ঈদে জাতীয় ঈদগাহসহ গোটা রাজধানী জুড়ে থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। তবে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, এবার ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে অতীত ইতিহাসের বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশের সব ইউনিট তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন : সড়কে ৪০ কিলোমিটার যানজট
তিনি বলেন, ডিএমপি প্রত্যেকটা ঈদের জামাতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন ইউনিটের পোশাকধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিংও নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকবে। এছাড়া অন্য কোনো হুমকি থাকাকালে সিটিটিসি প্রস্তুত থাকবে।
জাতীয় ঈদগাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে ৩ স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। র্যাবও ফোর্স নিয়োগ করবে। সবার সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : জাতীয় ঈদগাহে প্রস্তুতি সম্পন্ন
ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, গত ঈদে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাতে অনেকেই বাসা খালি রেখে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আশা করছি সে অবস্থা বজায় থাকবে।
ঢাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। স্থানীয় সিকিউরিটি গার্ডের সাথে যোগাযোগ থাকবে। কোনো তথ্য আমাদের জানালে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ এটেন্ড করবে।
আরও পড়ুন : মোহাম্মদপুরে ভবনে আগুন, নিহত ১
তিনি আরও বলেন, তারপরেও যারা গ্রামে যাচ্ছেন, মূল্যবান সম্পত্তি খালি বাসায় না রেখে ঘনিষ্ঠদের বাসায় অথবা ব্যাংকে রেখে যান। যদিও পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে, তাও ফাঁকা বাসায় মূল্যবান সামগ্রী থাকলে ঝুঁকি থেকে যায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কসাইয়ের ছদ্মবেশে রেকি করে অপরাধের বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশকে জানিয়ে দিন। যে কোনো তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
আরও পড়ুন : ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ অভিযান
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপির ৩২ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে হয়তো ছুটি দিব। বাকিরা নগরবাসীর সেবায় ঢাকায় দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ঈদ নেই। আশা করি, সবার নিরাপদে ঈদ উদযাপিত হবে।
সান নিউজ/এনজে