নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : ভোটাররা ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে
মঙ্গলবার (২৭ জুন) নির্বাচন ভবনে আট প্রার্থীকে নিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ের জন্য আপনাদের ডেকেছি। আমরা কোনোভাবেই চাই না আচরণ ভঙ্গ হোক। আমরা আশা করি এটা হবে না। অনেক সময় অজ্ঞতাবশত আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। অতি উৎসাহী হয়ে কিছু কিছু কর্ম করে ফেলেন আচরণ ভঙ্গজনিত।
আরও পড়ুন : বিদ্রোহীদের পুতিনের তিন সুযোগ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করবো। অতীতেও আমরা এ চেষ্টা করেছি। ক্ষেত্রে বিশেষে আমরা প্রার্থিতাও বাতিল করেছি। ওই রকম কোনো ঘটনা আশা করি ঘটবে না। আপনারাও সচেতন। আপনারা সংসদ সদস্য হয়ে আইন প্রণয়ন করবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। এটা একান্তভাবে কাম্য।
সিইসি বলেন, কাউকে আক্রমণ করবেন না। আক্রমণাত্মক কথা বলবেন না। মিছিল করতে গিয়ে ঢিল ছুড়বেন না। দোষারোপ করে বক্তব্য দেওয়া পরিহার করে চলা ভালো।
আরও পড়ুন : সেন্টমার্টিন নিয়ন্ত্রণের আলোচনা হয়নি
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন সিসিটিভি দিয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করবো। অনেকে পেশিশক্তি লাগিয়ে ব্যালটে সিল দিয়ে স্টাপিং করতে থাকেন। সেটা কিন্তু করবেন না। এমনও হতে পারে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম না। এক্ষেত্রে আমরা টোটাল ভোট বন্ধ করে দিতে পারবো। যদি বুঝি এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এজন্য সার্বিক ভোট বিপন্ন হবে, বাধাগ্রস্ত হবে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। এটা আমাদের কাছে প্রতীয়মান হলে সম্পূর্ণ ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।
সিইসি বলেন, পোলিং এজেন্ট না থাকলে ভোটের ক্ষেত্রে অনেকটাই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বেন আপনারা। কেউ অন্যায় আচরণ করছে কি না, কারচুপি হচ্ছে কি না সেটা দেখার জন্য পোলিং লাগবে। নির্বাচন কমিশন এখানে বসে বসে সব কিছু দেখতে পারবে না। পোলিং এজেন্টও সেটা দেখবেন। আমরা অনেক সময় অসহিষ্ণু হয়ে উঠি। প্রচারণা চালাতে হবে অহিংস পদ্ধতিতে, শালীনভাবে। আমরা ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। কে কারে ভোট দিলো এটা আমাদের মাথাব্যথা নেই। ভোটাররা আসবেন। ভোট দেবেন। বাইরে এসে কোনো অভিযোগ করবেন না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন : অটোরিকশা-ভটভটি সংঘর্ষে নিহত ৩
সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত না আসায় উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
নৌকার এ প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার তখন বলেন, তিনি অসুস্থ তাই আসতে পারেননি।
সিইসি তখন বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না।
সান নিউজ/এমআর