নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে অনিবন্ধিত ৪ আইপি টিভি অফিসে অভিযান চালিয়ে ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দের পাশাপাশি অফিসগুলো সিলগালা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এদের কোনো অনুমোদন নেই। এরা চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত।
আরও পড়ুন : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস
সোমবার (২৬ জুন) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘নব্বই এর গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রোববার (২৫ জুন) চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে নিবন্ধনহীন আইপি টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে এমন অভিযান চলবে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, টিভি চ্যানেলগুলোর বিটিআরসিকে মাসে ২০ লাখ টাকার বেশি ফি দিতে হয়। সরকার ৫০ টির মতো টিভি চ্যানেলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ টি টিভি সম্প্রচারে আছে।
আরও পড়ুন : মিনায় যাচ্ছেন হাজীরা
তিনি আরও বলেন, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে দেখবেন, তারা (অবৈধ আইপি টিভি) টেলিভিশন চ্যানেলের মতোই বুম নিয়ে হাজির হয়। এদের কোনো অনুমোদন নেই। এরা চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত।
সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী, আইপি টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা যায় না উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য চাঁদা নেয়, বিপক্ষে সংবাদ করার হুমকি দিয়ে চাঁদা নেয়। এ কাজগুলো সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে বজ্রপাতে নিহত ১১
তিনি বলেন, অভিযান চালানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই, যারা চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপকর্মের সাথে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
মন্ত্রী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে, তারা বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য উল্টো টাকা নেয় এবং মাসে মাসে তাদের কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা পাঠাতে হয়। এ অবৈধ কাজ-কারবার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সে কারণে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
সান নিউজ/এনজে