নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, গুজবে কান দেবেন না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করবো। গত কয়েকটি নির্বাচনে তার প্রমাণ দিয়েছি। এগুলোর প্রতিটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিগন্ত
রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুষ্টু লোকের বাংলাদেশের সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে। এ কারণে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে অগ্রসর করতে চাচ্ছে। আমি তাদের (দুষ্টু লোকদের) বন্ধুদের বলবো, সাবধান, দেশ ধ্বংস হলে আপনাদেরও ক্ষতি হবে।
ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে ড. মোমেন বলেন, কোনো ধরনের প্ররোচনা বা কোনো তাগিদে দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
জনগণ সরকারের শক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করবো, কুচক্রি মহল যারা দেশের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন। আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন কোনও বিদেশি শক্তির কাছে পরাজিত হননি। এবারও বিদেশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো।’
আরও পড়ুন : শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে। যেন কোনো ধরনের উন্মাদনা, সন্ত্রাসী তৎপরতা বা আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহু উদ্যোগ নিয়েছে, তাদের থেকে সাবধান।
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে দেশের অসামান্য অর্জন ভেস্তে যাবে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে। যে সব দেশ স্থিতিশীল তাদের জনগণ সুখে আছে। যে সব দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানকার জনগণ কষ্টে আছে।’
দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আরও দক্ষ হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হয়। এতে ব্যয় বাড়ে সরকারের। তাই প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে আরও বেশি তদারকি প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা বিদেশি একটি দেশের সিদ্ধান্ত দেখতে পারি। যে দেশে প্রকল্পের পিডি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে সাসপেন্ড হন। এমনকি তার জেল-জরিমানাও হয়। সে দেশে প্রকল্পের মেয়াদ আমাদের মত দফায় দফায় বাড়ে না। এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিলে খুশি হবো।
আরও পড়ুন : এ ধরনের চিঠি বাড়তে থাকবে
বাজেটে আয় এবং আয়কর দাতা বাড়ানোর জন্য দুটি প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রথমটি হলো- যেসব বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে তারা প্রত্যেকে যেন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেন। দ্বিতীয়ত, যারা ২৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করেন তারা যেন ব্যাংক বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। তাহলে সরকারের হিসাব থাকে।
সান নিউজ/জেএইচ