নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের লবিস্ট নেই। আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। যারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তাদের বলেন আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটাকে ধ্বংস করার তালে থাকবেন না।
আরও পড়ুন : গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ
লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা বরং দেশে আরও এনার্জি পাই কীভাবে, দেশে লোকের কর্মসংস্থান হয় কীভাবে, বিনিয়োগ বাড়ে কীভাবে; সেজন্য লবিস্ট নিয়োগ করেন। তাহলে দেশের মঙ্গল হবে। দেশ তো আপনার-আমার সবার। যারা অপজিশনে আছেন তাদেরও দেশটা। সুতরাং দেশকে ধ্বংস করে লাভ নেই। কারণ এটাতে সবার ক্ষতি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনকে দেশটির ছয় কংগ্রেসম্যানের দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, চিঠিতে কিছু তথ্যের গরমিল আছে, ভুল আছে। মিথ্যা তথ্য আছে। তারা বলছে, গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ৬০ পারসেন্ট হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এটা তো সত্যি নয়। বলা হচ্ছে, খ্রিষ্টানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এটাও-তো সত্যি নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চিঠিটা মনে হয়েছে, অপরিপক্ব হাতে লেখা। এটা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সুশীল সমাজসহ গণমাধ্যমের বলা উচিত এ রকম ভুল তথ্য নিয়ে কীভাবে চিঠি লিখে।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুর ৩১৬ কোটি টাকা পরিশোধ
চিঠি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বলার দরকার নেই। তারা চিঠি চালাচালি কোথায় করছে, এটা তাদের মাথাব্যথা; এটা আমাদের নয়।
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা দরকার সেগুলো চালিয়ে যাচ্ছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন চাইলে হবে না। আশা করব, যত দল আছে তারা সবাই প্রতিজ্ঞা করবে তারাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নেবে। তাহলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন : হাটের টার্গেট ১৫০ কোটি টাকা
ওয়াশিংটনে আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠেয় মোদী-বাইডেন বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তুতে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গটি থাকছে কি না- জানতে চাইলে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ওইসব দেশের বৈঠকে কে কী নিয়ে আলাপ করবে তা নিয়ে এত দুশ্চিন্তা কেন?
তিনি বলেন, ভারত অত্যন্ত পরিপক্ক গণতান্ত্রিক একটি দেশ। ভারতের নেতৃত্বও অত্যন্ত পরিপক্ক ও সমৃদ্ধ। বৈঠকে যা ভালো মনে করবেন, তা নিয়েই তারা (মোদি-বাইডেন) আলাপ করবেন। ওখানে আমার (বাংলাদেশের) ওকালতি করার প্রয়োজন নেই।
সান নিউজ/জেএইচ