নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যয়বহুল শহরের তালিকা অন্তভুক্ত হলো পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এর ফলে ওই এলাকার সরকারি চাকরিজীবীদের সরকারি বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। কক্সবাজার শহর ও পৌর এলাকাকে ‘ব্যয়বহুল’ স্থান ঘোষণা করে এক আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ বাড়ি ভাড়া, যানবাহন ভাড়া, খাদ্য ও পোশাক সামগ্রীসহ অন্যান্য ভোগ্যপণের মূল্য বিবেচনায় সরকার দেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজারের শহর/পৌর এলাকাকে ‘ব্যয়বহুল শহর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে ২০১৭ সালের শেষ দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, কক্সবাজার একটি পর্যটন শহর। এখানে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসে। ছুটির দিনগুলোতে ১০-১২ লাখ পর্যটক অবস্থান করেন এখানে। ছুটির দিন ছাড়া বিশেষ করে পর্যটন মৌসুমে বা শীতের সময় ৬-৮ লাখ পর্যটক থাকেন। অন্য সময়ে দুই থেকে আড়াই লাখ পর্যটক থাকেন। এসব কারণে এখানে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্য একটু বেশি। ফলে খাবার বা পরিবহন বাবদ বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়। যেটা অন্যান্য জেলায় করতে হয় না। এ কারণে তারা কক্সবাজারে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়তি ভাতা দেয়ার দাবি জানান।
বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের আসার পর সেখানে দেশি-বিদেশি অসংখ্য বেসরকারি সংস্থা কাজ শুরু করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা সেখানে কাজ করছে। এর ফলে কক্সবাজারে থাকা-খাওয়ার খরচ বেড়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর আর্থিক চাপ পড়ছে। এ বিবেচনায় কক্সবাজার শহরকে ব্যয়বহুল শহর ঘোষণার প্রস্তাব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেয়ার পরে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে এই প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর এই সাতটি বিভাগীয় শহর ছাড়াও কয়েকটি এলাকা সরকারি হিসাবে ব্যয়বহুল। ময়মনসিংহ বিভাগ হলেও এখনো ব্যয়বহুল শহর হিসেবে ঘোষণা হয়নি। এ ছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা এবং সাভার পৌর এলাকা সরকারি হিসাবে ব্যয়বহুল এলাকা।