নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘হিন্দু-মুসলিম বাংলাদেশে ভাই-ভাইয়ের মতো বসবাস করে আসছে। এমন অবস্থায় হঠাৎ করেই রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের প্রয়োজনীয়তা কী তা আসলে বোধগম্য নয়’। এই মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার কারণে সমস্যা বা হাঙ্গামার মতো কোনও ঘটনাও নেই।’
বুধবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হলেও এদেশে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকেও ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইসলাম ধর্ম নিজেও সবার ধর্মীয় স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও ইসলামের সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী এবং সবসময়ই তাদের সাহায্যে এগিয়ে থাকেন। মুসলিম ধর্মীরাও অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে শ্রদ্ধা করেন এবং মিলেমিশে বসবাস করেন।’
মানববন্ধনে অন্যান্যরা বলেন, বাংলাদেশের সর্বাধিক মানুষ ইসলাম ধর্মের। এছাড়া সবাই আমরা ভাই ভাই। এখানে রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলাম বাদ দেওয়া চক্রান্ত ছাড়া অন্য কিছু নয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিল, আছে এবং থাকবে। একইসঙ্গে আমরা অশোক কুমার ঘোষের আইনি নোটিশ বাতিলের দাবি জানাই।
সম্প্রতি সংবিধান থেকে 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' বাদ দিয়ে সেখানে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' চালু করার দাবিতে ১০ জন রাজনীতিবিদ ও আমলাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। তার প্রতিবাদেই অনুষ্ঠিত হয় এই মানববন্ধন।
মানববন্ধনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।