সান নিউজ ডেস্ক : চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন : এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি
শনিবার (৩ জুন) ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
‘জাতীয় চা দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দিবসটি উপলক্ষ্যে চা শ্রমিক, মালিকসহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আরও পড়ুন : শীতলক্ষ্যায় জাহাজে বিস্ফোরণ
তিনি বলেন, চা সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে প্রথম চা চাষ শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নে চা গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন : ফের শপথ নিলেন এরদোগান
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি স্থাপনের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়া স্বাধীনতার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্প পুনর্গঠনে বাগান মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
তিনি ১৯৭৩ সালে শ্রীমঙ্গলস্থ ‘টি রিসার্চ স্টেশন’কে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করেন। এটি বর্তমানে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)’ হিসেবে দেশের চা গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন : সাদিক-রুপনের ৯ কর্মী গ্রেফতার
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, এক সময় চা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রফতানি পণ্য। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে ‘উন্নয়নের পথনকশা : বাংলাদেশ চা শিল্প’ অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশী জন চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাসস্থান, শৌচাগার ও নলকূপ স্থাপন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা অপহৃত
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বছর চা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিক-বান্ধব চা শিল্প’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি ‘জাতীয় চা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
সান নিউজ/এনজে