নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনা নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নদীর চরিত্র বুঝতে হবে। জেনেশুনে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। সব জায়গায় সবকিছু নির্মাণ করা যাবে না। ভাঙনের হুমকির মুখে থাকা নদীর পাড়ে নির্মিত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা অবিলম্বে সরিয়ে নিন।’
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনির্ধারিত আলোচনাকালে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তন থেকে একনেক বৈঠকে অংশ নেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, আমরা যে নদীর পাড়ে ঘরবাড়ি বানাই, তখন কি আমরা চিন্তা করি কোথায় বানাচ্ছি? বানিয়ে চলে গেলেন, নদী ভেঙে নিয়ে গেল। এটা ঠিক না। নদীর চরিত্র বুঝতে হবে। জেনেশুনে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সব জায়গায় সবকিছু নির্মাণ করা যাবে না।’
পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুন্সিগঞ্জে টিনের বাড়ি দোতলা দেখা যায়। সুন্দর সুন্দর একতলা, দোতলা। কারণ তারা পদ্মার পাড়ে বাস করতো। পদ্মা ভাঙার সময় আসলে তারা উঠিয়ে আরেক জায়গায় বসিয়ে দিতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আপনারা মডেল ডেভেলপ করেন। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কলেজ যেগুলো হুমকির সম্মুখীন, সেগুলো আমরা যেন তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিতে পারি। যাতে করে গোটা বিল্ডিং না খেয়ে ফেলে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, ‘এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।’
বৈঠকে নদীভাঙন প্রতিরোধ, সড়ক প্রশস্তকরণ, সেতু নির্মাণ, মাছ আহরণ, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার বিষয়সহ নতুন সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে এসব প্রকল্প।
সান নিউজ/ আরএইচ