নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের উড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আছে ২ জন বাংলাদেশিও। আরও আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮
শনিবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ শোক বার্তা জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার (২ জুন) রাতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৮৮ জনের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : েলেক থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, এই ব্যাপারে দ্রুতই রিপোর্ট পেশ করা হবে। কী ভাবে এ দুর্ঘটনা, তা নিয়ে রেল এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের বিস্তর ফারাক দেখা গেছে। স্পষ্ট হয়নি এ ঘটনার মূল কারণ কী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের পেছনের ৪ টি বগি প্রথমে লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে উঠে যায়। ঐ লাইন দিয়ে এসেই লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতেই চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডলের সামনে ৫টি কামরা দুমড়েমুচড়ে যায়।
এদিকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে হাজারেরও বেশি যাত্রী। তাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন নম্বর চালু
হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়। শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
উল্লেখ্য, এ দুর্ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হতাহতদের মধ্যে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে