নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বাংলাদেশের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় মহান সংসদে উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : বাজেট পাস হবে আগামী ২৬ জুন
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ, তথা পঞ্চম বাজেট।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার পঞ্চম বাজেট। একই সঙ্গে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও অর্থবিল ২০২৩ পেশ করবেন তিনি। এর আগে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বিশেষ সভায় এগুলো অনুমোদন দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার বা মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন : বন্দুকের নল দিয়ে এ দেশে নির্বাচন হবে না
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে, নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তিৃতার শিরোনাম হচ্ছে- ‘উন্নয়নের দেড় দশক : স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’। বাজেট বক্তৃতায় মোট ১১টি অধ্যায় রয়েছে।
দীর্ঘ এই বাজেট বক্তৃতায় বর্তমান সরকারের গত দেড় দশকে দেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। জিডিপির অংশ হিসেবে ঘাটতি পরিমাণ পাঁচ দশমিক ২ শতাংশ। বিশাল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ (নিট) নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন : বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) বাজেটে যা পরিমাণ ছিল এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বাড়বে ২৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে যা ২৪ শতাংশ।
সূত্র হতে জানা যায়, আগামী বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ছয় দশমিক শূন্য তিন শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
অপরদিকে দিকে আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে সাত দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : নতুন নিষেধাজ্ঞা আসার কারণ নেই
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে, আগামী অর্থবছরের জন্য মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আসবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
রাজস্ব খাত বহির্ভূত (নন-এনবিআর) থেকে আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে (এনটিআর)।
সান নিউজ/এইচএন