নিজস্ব প্রতিবেদক : সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকলে ভিসানীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করতে এ ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : সামাজিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত
মঙ্গলবার (৩০ মে) এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশিরা যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রেরও চাওয়া একই। আর সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্যরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন। বাংলাদেশে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশি যাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে, তারাও একই মত প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন : ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৭, আহত ১৬
নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা থাকলে কেন ভিসানীতি প্রকাশ করতে হলো, জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, তা হলো এ ঘোষণা বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করার জন্য। সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি ব্যবহার করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে এ ভিসানীতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর ব্যবহার করা হবে। যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন :
এর আগে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর বর্ধিত উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র নিয়ে এ প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছে।
আলোকচিত্র প্রদর্শনী শেষে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সমর্থন না করায় যুক্তরাষ্ট্ররে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতাকামী জনগণ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। যদিও সেসময় মার্কিন সরকারের অন্য অগ্রাধিকার ছিল। তৎকালীন ঢাকার মার্কিন কনস্যুল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড এবং তার সহকর্মীদের সাহসী সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই যে, তারা মার্কিন সরকারের নীতির প্রতি সেসময় ভিন্নমত জানিয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন : বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম
যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি অনুশোচনার বলে মন্তব্য করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, একজন খুনি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে আশ্রয় পেয়ে আছে, বিষয়টি সত্যি অনুশোচনার।
সান নিউজ/এমআর