নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের সব উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘একবারের বেশি কোনো ব্যক্তিকে টিআইএন নম্বর দেওয়া হবে না।’
সোমবার (১৭ আগস্ট) আয়কর বিভাগের রাজস্ব আদায়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের গতিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর খাত থেকে রাজস্ব জোগান নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সুন্দর ও যুগোপযোগী একটি কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সম্পূর্ণ বিজনেস প্রসেস অটোমেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে সামগ্রিক অটোমেশনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে করের আওতা সম্প্রসারণ (জরিপ, থার্ড পার্টির ডাটাবেজ ব্যবহার করা), করদাতাদের রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রিটার্ন ফরম সহজ করে এক পাতার রিটার্ন ফরম তৈরি করা হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি কর হার হ্রাস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব জোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যেসব কর্মপন্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে পারসোনাল মোটর ভেহিক্যালের এআইটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভুয়া টিআইএন ও কর ফাঁকি রোধে বিআরটিএ ও ই-টিআইএন যাচাইয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।’
তিনি জানান, ‘আয়কর বিভাগের ৬৫ শতাংশ রাজস্বই আদায় হয় উৎসে কর হতে। উৎসে কর আদায়ে যথাযথ মনিটরিং ও উৎসে কর্তনে কর ফাঁকি রোধকল্পে টাস্কফোর্স গঠন, ই-টিডিএস সিস্টেম তৈরির উদ্যোগসহ ইনোভেটিভ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি রোধে ডাটাবেজ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ব্যক্তিগত গাড়ির বিশেষ ধরনের নম্বর প্লেট বিক্রির মাধ্যমেও রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।’
এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অটোমেশনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্র ব্যতীত প্রায় সব টিআইএন-ধারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
সান নিউজ/ এআর