নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে দেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। মানুষ ভিক্ষা করে নয়, নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন : বিশ্ব শান্তির পক্ষে ছিলেন বঙ্গবন্ধু
রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।
আরও পড়ুন : বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আত্মহত্যার ঘোষণা
তিনি বলেন, ভারতের সাথে আলোচনা করে ছিটমহল বিনিময় করেছি। তাহলে কেন এই অস্ত্র ব্যবসা। সেটা কেন শিশুদের খাবারের জন্য ব্যয় করা হয় না। আমরা রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছি। কারণ আমাদের মনে ছিল ৭১ এর শরণার্থী শিবিরের কথা।
তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র নয় মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
আরও পড়ুন : ১৫০০ জলবায়ু কর্মী আটক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকে নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন। সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি সব সময় শান্তির পথে ছিলেন, শান্তির কথা বলে গেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতি আমরা আজও মেনে চলি, মেনে চলতে চাই। জাতির পিতা সব সময় মানুষের কল্যাণের নিজের জীবনকে উৎসর্গ করছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন : নৈসর্গিক সৌন্দর্য চিত্রকর্মের মূল উপজীব্...
যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। দারিদ্র্যের হার ৪১-১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এ দেশে কেউ দরিদ্র, ভূমিহীন থাকবে না। সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক অনেককে হত্যা করা হয়। এমন একটা অশান্ত পরিবেশে দেশের মানুষকে ২১ বছর কাটাতে হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে