নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
আরও পড়ুন : ভিসানীতি নিয়ে মাথাব্যথা নেই
শনিবার (২৭ মে) এক ভিডিও বার্তায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উৎসব আমাদের বিদেশের সব মিশনে উদযাপন করছি। জুলিও কুরি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।
আরও পড়ুন : শর্তসাপেক্ষে এসকর্ট পাবেন রাষ্ট্রদূতরা
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে কারাবরণ করেন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন তিনি মেনে নিতে পারেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলার নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়’- এ বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করেন। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং দেশে দেশে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ চালু করেছে।
আরও পড়ুন : ভিসা নিয়ে ইইউ’র নীতি ভিন্ন
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে আমাদের অঙ্গীকার হবে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে কাজ করে যাওয়া। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অর্জিত হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে।
সান নিউজ/এনজে