সান নিউজ ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ভিসানীতির প্রতিক্রিয়া এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে বক্তব্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দিয়েছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেটা চাচ্ছেন; তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাকে আরও জোরালোভাবে বলেছেন। আমাদের অঙ্গীকার এবং অবস্থান সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে চাই। এটাকেই তারা সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।
আরও পড়ুন : নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডিস্যানটিস
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রীর যে আগ্রহ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সেটাকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়ার জন্য তারা এটা করেছে। সুতরাং এটা করেছে ভালো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকারে আসতে চায়। আমরা গণতান্ত্রিক সরকার চাই। আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন করে যাব। জ্বালাও-পোড়াও চাই না। আমেরিকা যে নীতি করেছে এতে করে জ্বালাও-পোড়াও দলরা একটু সচেতন হবে। জ্বালাও-পোড়াও ও রাস্তা দখল করে আন্দোলন, এটা কমবে।
আরও পড়ুন : ভোট সুষ্ঠু হলে ফলাফল মেনে নেবো
তিনি বলেন, দুষ্টু লোকরা দেখেন না জ্বালাও-পোড়াও করে। সম্প্রতি পুলিশকে পিটিয়েছে, বাস জ্বালিয়েছে, এখন তারা একটু সাবধান হবে। আমেরিকা বলেছে, তাদের যে নীতি সরকারি দল বা অন্যদের জন্য যেমন তেমনি অপজিশনের জন্যও। তাদের ওপরও বর্তাবে। তারা ইনশাআল্লাহ সাবধান হবে।
নির্বাচন নিয়ে সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়তি চাপ অনুভব করছে কী না-জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের কাজ করেছে। আমরা আমাদের কাজ করব।
আরও পড়ুন : গাজীপুর সিটির ভোটগ্রহণ চলছে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানপোড়ন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক।
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে বুধবার নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ সরকার বিচলিত নয়
বিবৃতেতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি আজ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) (সি) (৩সি) ধারার আওতায় নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নতুন এ নীতির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : সৌদি পৌঁছেছেন ৯৭৮৯ হজযাত্রী
পরে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে- ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।
ব্লিনকেন বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সবার। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সবাইকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এ নীতি ঘোষণা করছি।
সান নিউজ/এমআর