নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সব বস্তি এবং মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বীকৃতিতে সন্তোষ
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মহাখালীর সাততলা বস্তিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, বস্তিগুলোতে প্রায়ই আগুন লাগে। যে কোনো জনবসতিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকতেই হবে। আবার শুধু ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকলেই হবে না, তার সঙ্গে ফায়ার ড্রিল করতে হবে, যারা আগুন লাগলে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন : ফল বাতিল করতে পারবে ইসি
তিনি বলেন, সাততলা বস্তিতে যে হাইড্রেন্ট করা হয়েছে তাতে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এরমধ্যে ২০ হাজার লিটার পর্যন্ত পানি বস্তির মানুষ গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ৪০ হাজার লিটার পানি সংরক্ষিত থাকবে আগুন নেভানোর জন্য। আগুন লাগার পর এ পানি অন্তত ৪০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, চৌবাচ্চায় পানি থাকবে, হোস পাইপ থাকবে। পাম্প থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি দিতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থাপনায় ১৭ জন কর্মী থাকবে। আগুন লাগলে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ড্রিল যারা করেছেন তারা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন। আগুন নেভানোর পাশাপাশি বস্তিবাসীকে নিরাপদে বের হতেও সাহায্য করবেন তারা।
আরও পড়ুন : নববধূ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
মেয়র বলেন, বস্তির টিনের ঘরের চালে রোদ পড়লে তা প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এটা ঠেকাতে টিনের ঘরগুলোর ফাঁকে ফাঁকে গাছ লাগানো যায় কিনা তা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সাততলা বস্তির মতো মহাখালী কাঁচাবাজারেও সমন্বিত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর অন্য মার্কেটেও এ ব্যবস্থা চালু হবে।
সান নিউজ/এমআর