নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিশনসমূহের কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে আর বাড়তি প্রটোকল সুবিধা দেবে না বাংলাদেশ সরকার।
আরও পড়ুন : দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন, প্রস্তুত তুরস্ক
সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতকেই আমরা পুলিশের এসকর্ট সুবিধা দেব না। কারণ ওইসব দেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে এই ধরনের সুবিধা দেওয়া হয় না। এই প্রটোকল নির্ধারিত হয় আদান-প্রদানের ভিত্তিতে। কোনো দেশকেই আমরা অতিরিক্ত নিরাপত্তা সুবিধা দেব না।
তিনি বলেন, রাস্তা-ঘাটে চলার জন্য কয়েকটা দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স দেওয়া হচ্ছে। উন্নত দেশে এটা দেওয়া হয় না। আমেরিকা, ইইউ, সৌদি আরবে এ সুবিধা দেওয়া হয় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কাউকে এ সুবিধা দেব না।
আরও পড়ুন : আজীবন বহিষ্কার জাহাঙ্গীর
ড. মোমেন বলেন, আমরা কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে এসকর্ট সুবিধা দিতাম। সম্প্রতি আরও অনেকে এ সুযোগ চাচ্ছিলেন। এটা একটা প্রেস্টিজের বিষয়। আমাদের এত সম্পদ নেই যে, জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে সবাইকে বাড়তি প্রটোকল সুবিধা দেব। ৫৮ জন সবাই চান এ সুযোগ। আমরা এটা দিতে পারছি না। যার জন্য আমরা ঠিক করেছি কাউকে আর এ সুবিধা দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, তবে আমরা শর্ত দিয়েছি, যদি কেউ নিতে চায়-তাহলে তিনি ভাড়া করতে পারবেন। বিদেশে এ সিস্টেম আছে। আমাদের সিকিউরিটি ফোর্স দরকার। মেট্রোরেল হয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে; আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন : জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক সমস্যা
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইন শৃঙ্খলা উন্নত। এখানে রাস্তাঘাটে কেউ কাউকে গুলি করে মারে না, গাড়ি আটকে মারে না। তাই আমরা মনে করি এগুলোর প্রয়োজন নেই। এটা রাখতে গেলে অনেকের মনে কষ্ট হয়। সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গত সপ্তাহে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিশনগুলোকে অবগত করা হয়েছে।
তবে নির্দেশনাটি কবে নাগাদ কার্যকর হবে, এ বিষয়ে কিছু জানাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। পুলিশ প্রশাসন এটা বলতে পারবে।
সান নিউজ/জেএইচ