নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারিভাবে কোনো খারাপ চাল না কেনার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
যারা পুরাতন চাল ছাঁটাই করে নতুন করে বিক্রি করেন তাদের কাছ থেকেও চাল না কেনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রোববার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৩ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে সারাদেশে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি এক বৈঠকে অংশ নিয়ে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নতুন কূপে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত
বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত মৌসুমে যারা চাল দেয়ার জন্য চুক্তি করেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফিট লিস্টে নাম না পাঠানোর জন্য খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে এ বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স না থাকলে ধান ও চাল কেনা যাবে না।
তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ৪ লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষক যদি ধানের দাম ঠিকভাবে না পায় তাহলে সরকার প্রয়োজনে ৭-৮ লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ত্রাণ চাল সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে।
আরও পড়ুন: চৌকস ও সুশৃঙ্খলে পরিণত হয়েছে বিজিবি
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সবকিছু বিবেচনায় সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। কৃষকরা ধান দিতে এসে যেন কষ্ট না পায়। ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায়। তবে ধানের আদ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যাবে না। আদ্রতা ঠিক থাকলে ধান ফেরত দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে সব ধান কেটে ফেলা উচিত। কেননা এরইমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সরিষাও উঠবে।
হাওরাঞ্চলে কৃষকরা বলছেন, তাদের যে উৎপাদন খরচ হয়েছে সে অনুযায়ী ধানের দাম কম। তারা ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একজন কৃষক। আমার উৎপাদন খরচ পড়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। আমি ১২০০ টাকা মণ বিক্রি করছি।’
তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি জানি না আপনি কোন কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো চাই কৃষক ভালো দাম পাক। ভালো দাম পেলে কেন কৃষক সরকারের কাছে ধান বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: ডেন্টালে ভর্তি শুরু
তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করেছিল দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবে। তাই আমন মৌসুমে তারা মজুদ করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ-২০২৩ মৌসুমে ৪ লাখ টন ধান, ১২.৫০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। রোববার থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।
প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা। ২০২২ সালে ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ২৮ টাকায় সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সান নিউজ/এনকে