সান নিউজ ডেস্ক: এবারের ঈদযাত্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে সড়কে দুই হাজার ৫০৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৪৫১ জন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই হাজার ৫২৭ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বাস দুর্ঘটনা। বাস দুর্ঘটনায় নিহতও সবচেয়ে বেশি ২৮২ জন।
আরও পড়ুন: বুটেক্সের নতুন উপাচার্য ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান
তবে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৫৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি কমেছে। নিহত-আহতের সংখ্যাও আগের মাসের তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে।
সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থার মহাসচিব শান্তা ফারজানার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশের ২২টি জাতীয় দৈনিক, ২০টি টেলিভিশন চ্যানেল, ৮৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করেছে সেভ দ্য রোড।
আরও পড়ুন: এসএসসি-সমমান পরীক্ষা শুরু
সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি। এতে নিহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৪৩৫ জন। ৬৪৫টি ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন এবং আহত ৩৬৮ জন। সবচেয়ে বেশি ৮০৮টি বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৮২ জন এবং আহত হয়েছেন ৯৪৩ জন। এছাড়া নসিমন-করিমনসহ অন্য তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহনের ৬২২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৭৮১ জন এবং নিহত হয়েছেন ৮৯ জন।
এতে চালকদের নির্ধারিত গতিসীমা না মানা, বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১২-২০ ঘণ্টা গাড়ি চালানোসহ বিভিন্ন অনিয়মকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সেভ দ্য রোড। এছাড়া প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলা, পুলিশ ও প্রশাসনের দুর্নীতিকেও দায়ী করেছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই
সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, এবার বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ভাড়া দুই থেকে তিনগুণ বেশি আদায় করার কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির কবলে পড়লেও বিআরটিএ বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কোনো মনিটরিং টিম ছিল না।
বগুড়া, বরিশাল, নওগাঁ, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের অধিকাংশ সড়ক পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষই ভাড়া নৈরাজ্য করে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
সান নিউজ/এনকে