স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন বাজার বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন : রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
পণ্য রফতানির পাশাপাশি সেবাখাতের সম্প্রসারণ ও রফতানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে আমাদের সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি, বেসরকারি খাতকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) সরকারপ্রধান ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন : সারাদেশের ঈদবাজার শেষ
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০১৯-২০’ প্রদান অনুষ্ঠান হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে পুরস্কারপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রফতানি বাণিজ্য সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই রফতানি বাণিজ্যের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যেসব প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখিয়ে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, তাদের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করা হলে, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণে তা সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন : খোলা হবে না নিউমার্কেট
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে আসছে বলেও জানান তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় মোট রফতানি আয় ছিল ১৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত বছরসমূহে অব্যাহত নীতি সহায়তার ফলে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬০ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ২৫০ টির মতো দোকান পুড়েছে
তিনি আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম জুলাই-ফেব্রুয়ারি পণ্য খাতের অর্জিত আয় ৩৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের রফতানি আয় ৩৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
বাণীতে ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০১৯-২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সান নিউজ/এইচএন