নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, আশা করছি ভারতে বাংলাদেশিদের জন্য শিগগিরই ভিসা চালু হবে। বর্তমানে খুব ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল ভিসা, বিজনেস ভিসা দেয়া হচ্ছে বাই এয়ার। চেষ্টা করছি এটা যত তাড়াতাড়ি নরমাল করা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন রিভা গাঙ্গুলি।
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের ভিসা চালু প্রসঙ্গে রিভা গাঙ্গুলি বলেন, 'খুব ইর্মাজেন্সি মেডিক্যাল ভিসা, বিজনেস ভিসা আমরা দিচ্ছি বাই এয়ার। চেষ্টা করছি এটি যত তাড়াতাড়ি নরমাল হয়। এখনও যারা খুব ইর্মাজেন্সি রোগী তাদের ভিসা দেওয়া হয়।'
তিনি বলেন, এখনো করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ওঠানামা করছে। তাছাড়া ফ্লাইট স্বাভাবিক না হলে সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি শিগগির চালু করা যাবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, 'শিপিং মিনিস্ট্রির সঙ্গে আমরা খুব ক্লোজলি কাজ করি। করোনাকালে আমরা শিপিং মিনিস্ট্রির সঙ্গে একটা সেকেন্ড অ্যাডেনডাম পিআইডাব্লিউটিটি (প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড) স্বাক্ষর করেছি। ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা এগ্রিমেন্ট। বুঝতেই পারছেন অনেক পুরোনো, সত্তরের দশকের একটা এগ্রিমেন্টের সেকেন্ড অ্যাডেনডাম। এটা অনেকগুলো পোর্ট অব কল অ্যাড হয়েছে। দুটো নতুন রুট অ্যাড হয়েছে। এজন্য ওনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। এটা শো করে আমরা কতটা কমিটেড টু দ্যা রিলেশনশিপ। আমাদের দুজন প্রধানমন্ত্রীই কতটা কমিটেড টু দ্য রিলেশনশিপ।'
তিনি বলেন, 'এসওপি সাইন হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতে গিয়েছিলেন অক্টোবর মাসে। সেই এসওপিটাকে বাস্তবায়ন করা হল। ফার্স্ট ট্রায়াল রানটা হয়েছে, এখন আমাদের ওটাকে একটু ফাইনালাইজ করতে হবে। যাতে রেগুলার ট্রায়াল চলে। ইটস আ ভেরি এক্সাইটিং সেক্টর। যেটা উইন ফর বোথ সাইডস। আমাদের ট্রেড বাড়বে, এটাতে বাংলাদেশেরও অনেক লাভ হবে। ক্রিয়েটস জব ইন্স্যুরেন্স, শিপ বিল্ডিং সবকিছুতে।'
আপনি যখন বাংলাদেশে এসে শুরু করেছিলেন তখন বাংলাদেশ ও ভারতের যে সম্পর্ক ছিল, আর এখন সেটা কীভাবে দেখছেন এ বিষেয় জানতে চাইলে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, 'খুবই স্যাটিসফ্যাক্টরি। অনেক কাজ হয়েছে। স্পেশালি যেটা অ্যামেইজিং সেটা হল আমরা কোভিডের মধ্যেও কত কাজ করেছি একসাথে। রিলেশনশিপটা এত ক্লোজ! আপনারা জানেন ট্রেন কীভাবে চলছে, কোনো রকমের ডিজরাপশন হয়নি সাপ্লাই চেইনে। বরং অনেক বেশি এফিসিয়েন্সি এসেছে, বাংলাদেশে রেলওয়েতে রেভিনিউ এসেছে।'
তিনি বলেন, 'মনে হয় আমাদের ট্রেডে কস্ট কমবে। সার্টেনলি টেকেন টাইম কমে গেছে। জিনিসপত্র আসতে যেতে যে সময় লাগছিল, সেটা থেকে অনেক কম লাগছে। অনেক এচিভমেন্ট এই কয়েক দিনে। বলতে একটু সময় লাগবে। অনেক রকমের এগ্রিমেন্ট সাইন হয়েছে, পিএম-এর ভিজিটের সময়। প্রাইম মিনিস্টারের খুব সফল সফর হয়েছে। অনেকগুলো প্রকল্প একসঙ্গে উদ্বোধন করেছি। তো সার্বিকভাবে এসব অর্জনে আমি খুশি।'
সান নিউজ/ আরএইচ