নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য অনুদান হিসেবে ২০ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন। নিজেরা ঈদের কেনাকাটা না করে সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন : সপ্তাহ জুড়ে ৪০ জেলায় থাকবে তাপপ্রবাহ
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে পুড়ে যাওয়া মার্কেটস্থলে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান করা হয়। এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।
দোকান মালিক সমিতি ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্ন মহল থেকে অর্থ সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আনন্দদায়ক বিষয় হলো, তাদের সহায়তায় ২০ লাখ টাকা দিয়ে এগিয়ে এসেছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা।
আরও পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তির দাবী
বাংলাদেশ হিজড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশ্মির দিপালী জানান, গত ৩০-৪০ বছর ধরে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলেছি। আজ তাদের বিপদের মুহূর্তে আমরা ঈদের কেনাকাটা না করে ব্যবসায়ী ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
সারাদেশ থেকে আমরা ২০ লাখ টাকা তুলেছি। সেই টাকা আজ তাদের কাছে দিতে এসেছি। তারা বেঁচে থাকলে আমরাও বেঁচে থাকব।
আরও পড়ুন : সার্ভার ত্রুটিতে ঈদের ট্রেনের টিকেট
তাদের একজন সদস্য গুরু মা রাখি শেখ জানান, আমরা মানুষের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে এই টাকা জমিয়েছি। এখন আমরা সেটা মানবতার কল্যাণেই দিয়ে দেব। পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা তহবিলে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে তাদের হাতে এই টাকা পৌঁছানো হবে।
এই অনুদান হস্তান্তরের সময় ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের গুরু মায়েরা আসেন। এ সময় তাদের প্রায় শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : আ'লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু
এদিকে হজ্বের জন্য ২ লাখ টাকা জমিয়ে ছিলেন রাজধানীর উত্তরা এলাকার তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের সর্দারনী আলেয়া। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দুর্দশা দেখে হজ্ব না করে সেই ২ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, আজ সবচেয়ে আনন্দদায়ক বিষয়টি হলো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
আরও পড়ুন : কঙ্গোয় সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ২০
এ কারণে ব্যবসায়ী ভাইদের অনুরোধ করব, তাদের যেন কেউ কখনো অবহেলার চোখে না দেখে। এখন থেকে আমরা এই জনগোষ্ঠীকে শ্রদ্ধার চোখে দেখব।
সান নিউজ/এনজে