হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর থেকে:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। চলতি বন্যায় পানির তোড়ে উপজেলার লক্ষীটারি ইউনিয়নের শংকরদহ থেকে বাগেরহাট যাওয়ার সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় তিস্তার এ গতি পরিবর্তন। ফলে ভাঙনের হুমকির মধ্যে রয়েছে গঙ্গাচড়ার মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুসহ সংযোগ সড়ক। চরম আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের মানুষেরা ।
সরেজমিনে লক্ষীটারির শংকরদহ গ্রামে গেলে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, চলতি বর্ষায় তিস্তা নদীর বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে যায় এই গ্রাম থেকে বাগেরহাট যাওয়ার সড়কটি। ফলে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়া তিস্তার মূল স্রোত গতিপথ পরিবর্তন করে গ্রামটির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নালা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ওই নালাটি মূল নদীতে পরিণত হয়ে পুরো গ্রামটিই নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া জয়রাম ওঝা, পূর্ব ইচলী, পশ্চিম ইচলী, ইশোর কোল, এসকেএস বাজার, চল্লিশ সাল গ্রামসহ সাত গ্রামের হাজারো ঘর-বাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া বিলীন হয়েছে মসজিদ,মাদ্রানা, স্কুল, সড়ক। ভাঙনের হুমকির মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুসহ সংযোগ সড়ক।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তাদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙন কবলিত স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে তিস্তার ডান তীরের শহর প্রতিরক্ষা বাঁধসহ পার্শ্ববর্তী আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ইউপি সদস্য মোন্নাফ মিয়া জানান, ভাঙন শুরুর সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র কাজ করেছে। সঠিকভাবে কাজ না করায় সড়কটি ভেঙে যায়। এতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, এখনই কাজ না করলে শেখ হাসিনা সেতুসহ তার ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ড নদীগর্ভে চলে যাবে। তিনি, ভাঙন রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্র তই কাজ করার অনুরোধ জানান।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শুস্ক মৌসুমে কাজ করা হবে।
সান নিউজ/ এআর