সান নিউজ ডেস্ক: চীন সব সময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার মন্তব্য করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতি চীন সব সময় ধারাবাহিক নীতি বজায় রেখেছে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে বাংলাদেশের যে অবস্থান চীন তা সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: সহজ শর্তে ঋণ অব্যাহত রাখার আহ্বান
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে এ দেশের রাজনীতিবিদদের মতপার্থক্য নেই- আজ মঞ্চে উপস্থিত তিনটি দলের প্রতিনিধিরা সেটার প্রমাণ দিচ্ছেন। তারা সবাই এ সম্পর্কের সমর্থক। চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে নিহত ১১০
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে বাংলাদেশের নানা স্তরের লোকজনের আন্তরিকতা তাকে মুগ্ধ করেছে। ঢাকা-বেইজিংয়ের সম্পর্কের যে ভবিষ্যৎ আর সম্ভাবনা, সেটা সরকারকে ছাড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিস্তৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের স্বার্থ অভিন্ন। ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের আরও ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমরা সহযোগিতা করতে পারি। দুই দেশ একসঙ্গে বিকশিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাগরে নৌকাডুবি, ১৭ বাংলাদেশি উদ্ধার
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।
এ সময় আমির হোসেন আমু বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন জোরালো ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশের জনগণ আরও বেশি সন্তুষ্ট হতো। রাশিয়া ও ইউক্রেনের বর্তমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীনের সক্রিয় ভূমিকাও প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন: রোজায় পণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, চীন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। এখন পর্যন্ত চীন যেভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, সেটা কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও সেটা করার সামর্থ্য নেই।
সান নিউজ/এমআর