আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি : পার্বত্য চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে সমতলের ন্যায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন : দেশে ঘাটতি নেই, খাদ্য মজুত আছে
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলনে। এরআগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী ও যুগ্ম-সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু পায়রা ও বলেুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
১০ ডিসেম্বর সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে হবে—মির্জা ফখরুলের এমন হুঙ্কারকে উদ্বৃত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে গিয়ে তারা চিতপটাং হয়ে গেছেন। এরপর দড়ি ধরে টান দিলে দড়ি ছিঁড়ে হামাগুড়ি দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পলাতক বিএনপির নেতা তারেক রহমানের দেশের পরিবর্তন সহ্য হচ্ছে না, খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে আর মির্জা ফখরুল বকবক করছেন।
আরও পড়ুন : মার্কিন অস্ত্র ইরানে পাঠাচ্ছে রাশিয়া!
সরকারের ভিত অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ কৃষক-শ্রমিকের দল। আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেইনি। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো।’
জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে আস্থার সংকট নেই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৃষ্টি রয়েছে। বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা ঘটছে তা শুধু চাঁদাবাজির জন্য।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক পিন্টু ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
সম্মেলনে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাসন্তি চাকমা এমপি, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু এবং কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন : কেউ ইভিএমের ত্রুটি দেখাতে পারেনি
ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, আইনবিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া হক ও জাতীয় কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন বাবুর ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
পরে পিন্টু আচার্যকে সভাপতি এবং খোকন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষকলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
সান নিউজ/জেএইচ