নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য পেয়েছি ভবনটিতে সবকিছু আছে। এমনকি যারা থাকেন তারাও শিক্ষিত। কিন্তু আগুন লাগলে প্রশিক্ষিত বা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জরুরি যেই রেসপন্স টিম লাগে সেটা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কেনা যাবে ফেসবুকের ‘ব্লু ব্যাজ’
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে অগ্নিকাণ্ডের শিকার বাসা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগুন যেকোনো সময়েই লাগতে পারে। ভবনটি সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু এত সুন্দর ভবন, অথচ আগুন লাগলো। জরুরি পরিস্থিতির জন্য গার্ড ও বাসিন্দারা প্রশিক্ষিত ছিল না।
মেয়র বলেন, আমরা ফ্যাক্টরিতে বা গার্মেন্টসে প্রতিনিয়ত অগ্নি মহড়া করছি, সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু বাসা বাড়িতে সাধারণত সেটা হয় না। সত্যিকার অর্থে ফ্ল্যাট কেনেন কিংবা নিজে বাড়ি করেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় আগুন লাগতেই পারে, কিন্তু যেটা দরকার সেটা হচ্ছে, সেফটিনেস ও সচেতনতা। এ ভবনে যারা ছিলেন তারা যথেষ্ট সম্পদশালী ও শিক্ষিত। কিন্তু একটা আগুনেই তারা ভবনে আটকে গেছেন। আজ তারা আটকে গেছেন, কাল আমিও আটকাতে পারি, আপনি আটকে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৩৬
তিনি আরও বলেন, ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু ইলেক্ট্রনিক লাইন একই পাইপে উঠেছে। দুই লাইনের মধ্যে সেপারেশন থাকে। সেটা যদি না থাকে বা মাঝে যদি কোনো দাহ্য পদার্থ থাকে তাহলে কিন্তু সেপারেশন হলো না। সেটা আমি ইঞ্জিনিয়ার ও ফায়ার সার্ভিসকে দেখতে বলেছি। সেন্ট্রাল এসি ছিল। সেটা থেকে কোনো কারণে আগুনের ঘটেছে কি না সেটা তদন্ত হবে। ফায়ার সার্ভিস আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের অগ্নি সচেতনতামূলক কার্যক্রম আছে। আমরা বই দিয়েছি, মহড়া দিচ্ছি। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সোসাইটি রয়েছে, যেমন গুলশান সোসাইটি, বারিধারা সোসাইটি তারা যদি এগিয়ে আসে আমাদের বই নেয়, মহড়ায় অংশ নেয়, কেন অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে এবং ভূমিকম্প হলে কী করতে হবে তা যদি শিখে তাহলে অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
সান নিউজ/এনকে