জাতীয়

সবই আল্লাহর ইচ্ছা

সান নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেছেন, ‘সবই সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছা।’

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন নতুন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। সকাল সোয়া ৯টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন ভবনে এসে সরাসরি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনী কর্তার কক্ষে খোঁজ নেন। একে একে নির্বাচন কমিশনাররাও ইসিতে আসতে থাকে।

আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে

সোয়া দশটার দিকে সিইসি আসেন নির্বাচন ভবনে। নির্বাচন কমিশনাররাও সিইসির সঙ্গে আলাপ করতে আসেন। পরে তিনি নির্বাচনী কর্তার নির্ধারিত কক্ষের নির্দিষ্ট আসনে অপেক্ষা করেন। সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টার আগে আওয়ামী লীগের প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এসে নির্বাচনী কর্তার কাছে সাক্ষাৎ করেন।

এর কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আসেন, সঙ্গে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। এসময় তাকে সবাই ঘিরে ধরে এগিয়ে নিয়ে আসেন। স্মিত হাস্যে মো. সাহাবুদ্দিন জানান দিচ্ছেন তিনিই প্রার্থী।

আরও পড়ুন: সব সাফল্যের অংশীদার আনসার বাহিনী

নির্বাচন ভবনে চার তলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীকে নিয়ে বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সঙ্গে মনোনয়নপত্র নেওয়া হয় এ কক্ষে।

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্রে সই করেন প্রার্থী। এরই মধ্যে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র নিয়ে নির্বাচনী কর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়।

মনোনয়নপত্র জমার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিনিধি দলের সবাই উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে গণমাধ্যমের কাছে নতুন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর পরিচিতি তুলে ধরেন।

পরে প্রার্থীসহ প্রতিনিধি দল বের হয়ে যান। গণমাধ্যকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে নির্বাচন ভবনের নিচে শুধু একটি বাক্যই বলেন মো. সাহাবুদ্দিন, ‘সবই সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছা।’

আরও পড়ুন: আসবে, শেষ বেলায় আসবে

ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ ভোটের দিন রেখে গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী না থাকায় সংসদ অধিবেশন কক্ষে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবারই বৈধ মনোনয়নপত্র হওয়ার পর প্রত্যাহারের দিন চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৮ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

প্রসঙ্গত, মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পেশায় একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি ইতিপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের নেতা কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড, রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।

এদিকে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।

সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। রাষ্ট্রপতি পদে একজন প্রার্থী হলে, নির্বাচনের জন্য সংসদের সভা বা ভোটের প্রয়োজন হবে না।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আজ বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-বেলজিয...

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ছে 

জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলায় ত...

বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ ২য় স্থানে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বে বায়ুদূষণ...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আজ সারা দিনের আবহাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে অস্থায...

আজ বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-বেলজিয...

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ছে 

জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলায় ত...

বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ ২য় স্থানে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বে বায়ুদূষণ...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আজ সারা দিনের আবহাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে অস্থায...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা