সান নিউজ ডেস্ক: নানা কারণে বার বার পেছানো হচ্ছে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার কাজ।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই পাঠানের ১০ রেকর্ড
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) কিবরিয়া হত্যা ১৮ বছর পূর্ণ হলেও সাক্ষীদের আদালতে না আসায় এ হত্যা মামলার বিচারকাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। সাবেক নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও কিবরিয়া স্মৃতি পরিষদ।
সাবেক এই অর্থমন্ত্রী ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। এ হামলায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন এবং সিদ্দিক আলীও প্রাণ হারান। এছাড়াও আহত হন কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী।
কিবরিয়া কর্মজীবনে পররাষ্ট্র সচিব, এসকাপের নির্বাহী সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০১ সালে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে কিবরিয়া ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী।
আরও পড়ুন: পাঠান ঝড়ে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব
হত্যাকাণ্ডের রাতে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
মামলার সাড়ে ৯ বছর পর ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে এ ঘটনার তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্রে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট করা হয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিন, মুফতি সফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের জুনে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।
মামলাটির ৩২ আসামির মধ্যে অন্য একটি মামলায় ৩ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া হারিছ চৌধুরী লন্ডন মারা গেছেন। বর্ত মানে ২৮ জন আসামির মধ্যে জামিনে আছেন ১২ জন,পলাতক ৬ জন এবং হাজতে আছেন ১০ জন। এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে/এনকে