সান নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, বাজেট না থাকায় এবারের পাঁচটি আসনের উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকছে না।
আরও পড়ুন: পূর্ব এশিয়া হতে পারে আগামীর ইউক্রেন
তিনি বলেন, এবারের উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা যাচ্ছে না। এই উপ-নির্বাচন যে হবে এটার কিন্তু সম্ভাবনা আমরা দেখিনি। এটা তো হঠাৎ করেই একটা ঘটনা ঘটে গেছে। এখন আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট নেই।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বগুড়ার দুটি আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্যয় কমানোর নির্দেশ
রাশেদা সুলতানা বলেন, গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে আগে থেকেই বাজেটসহ সবকিছু নির্ধারন করা ছিলো। আমরা সিসি ক্যামেরা করবো না বা করবো এরকম কিন্তু আইনে বাধ্যবাধকতাও নেই। এর আগে করেছিলাম তার একটাই কারণ সবাই বলছিলো, ভোটে অনেক কিছু ঘটে। আসলে ঘটে কিনা সেটা একটু দেখার জন্যই করা হয়েছিলো। এটা আমরা ভবিষ্যতে করবো না তাও বলবো না, করবো তাও বলবো না। এটা নির্ভর করবে সময়ের উপর।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চোখ মিডিয়ার। যখন সিসি ক্যামেরা ছিলো না তখন কিন্তু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। অনেক অনিয়ম কিন্তু আমরা দেখেছি। আমি মনে করি আপনারা আমাদের বড় চোখ। আপনাদের চোখ দিয়ে আমাদের দেখান।’
পাঁচটা আসনে উপ-নির্বাচনে যদি সিসি টিভি ক্যামেরা দেওয়ার বাজেট না থাকে তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম বা সিসি ক্যামেরা থাকছে কিনা এই প্রশ্নের কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
আরও পড়ুন: আসুন আলোচনায় বসি
রাশেদা সুলতানা বলেন , ‘আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ হয়। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে এসে ভোট দিতে পারেন এই ফিল্ডটা তৈরি করা। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার জন্য আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সব দলকেই আমরা চাই। ৩৯টি দল আমাদের নিবন্ধিত আছে। তারা সবাই প্রার্থী দেবে। সবাই আসবে এটাই আমাদের চাওয়া। সবদল যেন নির্বাচনে অংশ নেয় সেই ক্ষেত্রগুলো তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সব দলকে আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা আসুন। এরপরেও যদি তারা মনে করেন তারা আসবেন না তাহলে আর কি করার আছে আমাদের। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক মতে আমাদের নির্বাচন করতে হবে, আমরা তো এর বাইরে যেতে পারবো না।’
তিনি বলেন, ‘সব প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা নিশ্চিতের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। ভোটের দিনের জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা এমনভাবে ভোট অনুষ্ঠিত করবেন যাতে ভোটাররা এসে ভোট দিতে পারেন এবং তারা যেন বাইরে গিয়ে বলতে পারেন আমরা ভোট দিয়ে এসেছি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে তলব
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বগুড়া জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান, কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেরিনা আফরোজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত।
সান নিউজ/এনকে