ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
মিয়ানমারে কোনো গণহত্যা হয়নি।রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণার পরে এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করেছে মিয়ানমার।
আইসিজে’র অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ সরাসরি প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ না করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমার কোর্টে হাজিরা দিয়েছে সম্মানিত বিচারপতিদের সাহায্য করার জন্য যাতে করে তারা সত্যনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য খুঁজে পায়।’
সম্প্রতি প্রকাশিত নিজেদের ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারির (আইসিওই) রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি। সেখানে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে এবং সেগুলি মিয়ানমারের জাতীয় অপরাধ বিচার সিস্টেমের অধীনে তদন্তাধীন অথবা বিচারাধীন আছে।’
তবে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি মিয়ানমারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে মামলার গ্রহণযোগ্যতা অনুধাবন করে কোর্ট সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’ বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কয়েকজন মানবাধিকার কর্মী মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনার কারণে সবার কাছে রাখাইনের বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রচার হয়নি। আর এই কারণে কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এর ফলে রাখাইনে টেকসই উন্নয়নে মিয়ানমারের সক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইনে হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত আরও তীব্রতর না হওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় দেশটি। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেয় জাতিসংঘের আদালতটি।