সান নিউজ ডেস্ক:
‘রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে তা উপমহাদেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। জঙ্গি কার্যক্রমে রোহিঙ্গাদের ভঙ্গুর মানসিকতাকে ব্যবহার করতে পারে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠি’। এমন আশঙ্কার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন। তাদের সেই আশঙ্কার কিছু বাস্তবতার কথা বেরিয়ে এসেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডিএনএ, নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আউটলুক’এর এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে. ভারতে হামলা করতে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি (জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ)-র মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদেরকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) এ কাজে অর্থ সহায়তা করছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি বলছে, এরই মধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজারে থাকা ৪০ জন রোহিঙ্গাকে বেছে নেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ চলছে। ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য আইএসআই বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েক কোটি টাকার তলবিলও সংগ্রহ করেছে বলে সেখানে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে এএনআই, বিএসএফ এবং র’এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে. যারা জেএমবি এবং রোহিঙ্গাদের কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রাখছে।
এদিকে পুরো বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পুরনো কাঁটাতারের বেড়ার বদলে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক ‘এ্যান্টি কাট ফেন্স’। ভারত সরকার এরই মধ্যে এর পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সীমান্তের লাঠিয়াল শিলচর সেক্টরের প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
উল্লেখ্য, ব্যাঙ্গালোরে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২২ বছর বয়সী এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালে মে মাসে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় জামায়াতুল মুজাহিদীন ভারতকে, যেটি জামায়াতুল মুজাহিদীন অব হিন্দুস্তান নামেও পরিচিত। আর বাংলাদেশে জঙ্গি এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আব্দুর রহমানসহ তার আরও পাঁচ সহযোগির ফাঁসি এদেশের সরকার একসঙ্গে কার্যকর করে ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ।