সান নিউজ ডেস্ক: বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলায় প্রধান আসামী তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন আদালত।
আরও পড়ুন : দুর্নীতি ও টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে তার জামিন আবেদনের শুনানি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুশরার আইনজীবী এ.কে.এম হাবিবুর রহমান চুন্নু । তিনি বলেন, গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বুশরার জামিনের জন্য আবেদন করেছি। আদালত আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্যয, নিখোঁজের তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা ৯ নভেম্বর রাতে বাদি হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ফারদিনের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরা সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে।
মামলার পর ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১০ নভেম্বর তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে বুশরা দেড় মাসের অধিক সময় ধরে কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন : সোমালিয়ায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩৫
ফারদিনের বাবা বলেন, ‘ছেলে খুন হলেও আত্মহত্যার গ্লানি বইতে হচ্ছে আমাদের। ’বুশরার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমিও চাই সে মুক্ত হোক, তবে তাকে প্রমাণ করতে হবে সে নির্দোষ।’ এদিকে, বুশরার বাবার দাবি, তার মেয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার। বিনা অপরাধে তাকে জেলে থাকতে হচ্ছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘হয়তো মেয়ে মুক্তি পাবে, কিন্তু এই যন্ত্রণা তাকে সারাজীবন কাঁদাবে। ’
বুশরার আইনজীবী বলেন, তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে বের করেছে ফারদিন আত্মহত্যা করেছে। তার মানে বুশরা ঘটনার সাথে জড়িত না। আমরা তিন দফা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তার জামিন আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তাকে জামিন দেননি। পরবর্তীতে আমরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন করি। ৫ জানুয়ারি জামিন শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। আশা করছি, সার্বিক দিক বিবেচনা করে আদালত তাকে জামিন দিবেন।
আরও পড়ুন : বিকেলে সংসদ অধিবেশন শুরু
ফারদিন নূর পরশ ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন সবার বড়।
সান নিউজ/এসআই/জেএইচ