নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ-উল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ট্যানারি শিল্প নগরী সাভারে সীমিত পরিসরে আসতে শুরু করেছে কাঁচা চামড়া।
এ বছর প্রতি বর্গফুট চামড়ায় ১০ টাকা কমানো হয়েছে। ঢাকায় লবণমাখা প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ছাগলের চামড়া প্রতিবর্গ ফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ২৮ থেকে ৩২ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
রোববার (২ আগস্ট) দুপুরে সাভার ট্যানারি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চামড়া বেচা-কেনা তেমন একটা জমে উঠেনি। নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাক। কিছুটা নীরব পরিবেশেই বিক্রি হচ্ছে চামড়া।
তবে চামড়া বিক্রি করে খুব একটা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় স্থবির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য খাত। তাই এ বছর কোরবানির ঈদে সাত হাজার পশুর চামড়া কিনেছেন। আগের কোরবানির ঈদগুলোতে এর ৩ গুণের বেশি চামড়া ক্রয় করতেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে সাভার ট্যানারি এলাকায় চামড়া বেচা-কেনা শুরু হয়ে গেছে। যদিও এ বছর চামড়ার দাম কম। এ কারণে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাভার ট্যানারিতে চামড়া বিক্রি করবেন তিনি।
আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী আসাদ শেখ সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল, বিশমাইল এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। আজ সীমিত পরিসরে সাভার ট্যানারিতে চামড়া বিক্রি করেছেন তিনি।
ব্যবসায়ী হাসেম ব্যাপারী বলেন, ‘চামড়ার দাম কম নির্ধারণ করায় লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গত বছরের লোকসানের ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এবার লোকসান হলে আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না। তাই অল্প পরিমাণে চামড়া সংগ্রহ করেছি।’
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, সাভার ট্যানারিতে সীমিত পরিসরে চামড়া আসতে শুরু করেছে।
এক সপ্তাহ পর থেকে পুরোদমে লবণযুক্ত চামড়া কেনা শুরু হবে।
সান নিউজ/সালি/ এআর