সান নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ করায় শূন্য হওয়া পাঁচ আসনে উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা সব কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে না। শুধু মাত্র ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রকে মেরামত আমরাই করেছি
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার কোনো সল্যুশন না জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা কোনো সল্যুশন নয়। এটা আইসিইউতে থাকার মতো। বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করবেন এবং এই পাঁচটি আসন শূন্য হবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তাছাড়া এ বিষয়ে বাজেটও ধরা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইইউতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে
তিনি বলেন, অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ছিল না। তবুও কোনো অঘটন ঘটেনি। এবার নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে। এতে ব্যালেন্সও হবে। ফলে এই উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা লাগবে না।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থোক বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা কেনা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এটা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে খরচ করা যায়। সিসি ক্যামেরা রেভিনিউয়ের টাকায় কিনতে হয়। তারপরও ভোট হতে বাকি আছে। যদি প্রয়োজন হয়, তবে কমিশনে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতেও পারে।
আরও পড়ুন: পরাজয়ে ফ্রান্সজুড়ে দাঙ্গা
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার শূন্য পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- শূন্য পাঁচ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৫ জানুয়ারি। যাচাই-বাছাই ৮ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
শূন্যঘোষিত পাঁচটি আসন হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, বগুড়া-৪, বগুড়া–৬, ঠাকুরগাঁও-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
গত ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। পরদিন ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে বিএনপির সাত এমপি জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে উদ্বেগ
এসময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
বিদেশে অবস্থান করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি। এজন্য নিয়মানুযায়ী- তার আসনটি এখনো শূন্য ঘোষণা করা হয়নি। এছাড়া রুমিন সংরক্ষিত আসনের এমপি হওয়ায় সেখানে উপ-নির্বাচনের পর নতুন সদস্য মনোনীত করা হবে।
সান নিউজ/এনকে